October 6, 2024, 11:07 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

বিশ্বে ৭ শতাধিক মাঙ্কিপ্রক্স রোগী, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে প্রকোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

বিশ্বজুড়ে সাত শতাধিক মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন যুক্তরাষ্ট্রের। শনিবার (৪ জুন) এমন তথ্য দিয়ে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিএস) বলছে, ঝুঁকির মাত্রা কম হলেও দেশটিতে সংক্রমণ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে রোগটির প্রাদুর্ভাব নিয়ে তদন্ত করার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রথম শনাক্ত হওয়া ১৭ রোগীর মধ্যে ষোলোজনই পুরুষ সমকামী। এর মধ্যে চৌদ্দজন সংক্রমিত এলাকায় ভ্রমণ করেছিলেন।

সিডিএস বলছে, রোগীদের সবাই সুস্থ হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ সেরে উঠেছেন ইতিমধ্যে। সংক্রমণে এখনো প্রাণহানি ঘটেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস বলেন, হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বলে দিচ্ছে যে পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে অশনাক্তভাবেই প্রাদুর্ভাব ঘটছে।

অর্থাৎ রোগীরা শনাক্ত হওয়ায় বিরল রোগটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সিডিএসের ডিভিজন অব হাই কনসিকোয়েন্স প্যাথোজেনস অ্যান্ড প্যাথোলজির উপ-পরিচালক জেনিফার ম্যাককুইস্টন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তারা কীভাবে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তা আমরা জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, তবে একজন রোগীর ভ্রমণ ইতিহাস নেই। তার আক্রান্ত নিয়েও বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

মাঙ্কিপক্স রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে অন্যরাও তাতে আক্রান্ত হন। শ্বাস-প্রশ্বাস, ত্বকের ক্ষত থেকে, নাক-মুখ-চোখ দিয়ে এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণত ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা যায়।

সেখান থেকে এ রোগ আমেরিকা ও ইউরোপ মহাদেশে ছড়িয়েছে। গুটিবসন্তের মতোই মাঙ্কিপক্স। রোগটি চিকেনপক্স মনে করেও বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে।

এর প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে আছে—জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠব্যথা, নাসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও অবসাদ। আবার ঝাঁকুনি দিয়ে ফুসকুড়ি ওঠার ঘটনাও ঘটে।

যদিও মাঙ্কিপক্সের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে অধিকাংশ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এখন পর্যন্ত রোগটির দুটি প্রধান ধরন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে কঙ্গো ধরন অনেক বেশি মারাত্মক। এতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার ১০ শতাংশ। আর পশ্চিমা আফ্রিকা ধরনে মৃত্যুহার এক শতাংশের কাছাকাছি।

১৯৫৮ সালে প্রথম মাংকিপক্স ভাইরাসটি আবিষ্কার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। রোডেন্ট জাতীয় প্রাণী ভাইরাসটির বড় আশ্রয়দাতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর